• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা, পরিবারের দাবী পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করায় এ হত্যা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০২৩

মোঃ এরশাদ হোসেন, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি:
ঢাকার কেরানীগঞ্জে গভীর রাতে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ব্যবসায়ীর নাম মো: সাইফুল ইসলাম(২৩)। রবিবার মধ্যরাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত সাইফুল শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জ থানার বাসিতপুর গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়া ছেলে। বর্তমানে পরিবারের সাথে খেজুরবাগ সাতপাখি এলাকায় আওলাদ মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে।
নিহতের বড় বোন লাকি আক্তার জানান, কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের সাতপাখি রোডে তার ভাইয়ের একটি বোরকার দোকান রয়েছে। এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতো তার ভাই সাইফুল। এ কারনে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের টার্গেটে পরিনিত হয় সে।
প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতেও দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরে তার ভাই। মধ্যে রাতে সাতপাখি এলাকার কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী কথা বলার জন্য তার ভাইকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় এর কিছুক্ষন পরে সন্ত্রাসীরা তাদের বাসার দরজায় লাথি মেরে বলে যায়, সাইফুলের লাশ সাতপাখি সড়কে পরে আছে নিয়ে আয়।
এর পরে বাসার সবাই বের হয়ে সাতপাখি সড়কে গিয়ে দেখে রাস্তায় রক্ত, আশেপাশের মানুষজন জানায়, সাইফুলকে মিটফোর্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিহতের মেঝো বোন তানিয়া বেগম জানায়, আমার ভাই পুলিশের সোর্সের কাজ করতো। এলাকার অনেক মাদক ব্যবসায়ীদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার কারনে তারাই আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। পুলিশ আমার ভাই হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিবে।
তানিয়া আরো বলেন, মিটফোর্ড হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাই মারা গেছে। সন্ত্রাসীরা ওর মাথায় এলো পাতারি কুপিয়েছে। ওর দুই চোখ তুলে ফেলেছে।
নাম বলতে অনিচ্ছুক সাতপাখি এলাকার একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন নামে আছে। দিনে দুপুরে সড়কে দাড়িয়ে দাড়িয়ে মাদক বিক্রি করে, কেউ কিছু বললে বা প্রতিবাদ করলে তাদের গট ফাদারদের নির্দেশে ঘর বাড়িতে হামলা করে। এভাবে একাধিক হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আশপাশের এলাকাগুলোতে মাদক কারবারীদের রাজত্ব্য। মাদক কারবারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়না । প্রতিবাদ করলেই এলাকায় বসবাস করা মুশকিল।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads